ব্লাড ক্যান্সার, যাকে রক্তের ক্যান্সারও বলা হয়, এটি রক্ত কোষের একটি ক্যান্সার। বর্তমান সময়ে ব্লাড ক্যান্সার এ পৃথিবীর ১.২৪ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। আপনার প্রিয়জনদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিশ্চিত করুন। রক্তের তিনটি প্রধান ধরনের কোষ রয়েছে:
ব্লাড ক্যান্সার যেকোনো ধরনের রক্ত কোষকে প্রভাবিত করতে পারে। যখন ব্লাড ক্যান্সার হয়, তখন অস্বাভাবিক রক্ত কোষগুলি নিয়ন্ত্রণের বাইরে বৃদ্ধি এবং বিভাজিত হতে শুরু করে। এই অস্বাভাবিক কোষগুলি সুস্থ কোষগুলিকে ভিড় করে বের করে দিতে পারে এবং শরীরের সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষমতাকে ব্যাহত করতে পারে।
ব্লাড ক্যান্সারের সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও অজানা। তবে, কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় রয়েছে যা ব্লাড ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
এছাড়াও, কিছু জিনগত ত্রুটি ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
লক্ষণ:
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণগুলি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের উপর নির্ভর করে ভিন্ন হতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ লক্ষণগুলি হল:
ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে:
ব্লাড ক্যান্সারের অনেক ধরণ রয়েছে। 3টি প্রধান ধরণ হল:
প্রতিকার:
ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা ক্যান্সারের ধরন, রোগীর বয়স এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:
চিকিৎসা
ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসা নির্ভর করে ক্যান্সারের ধরন, রোগীর বয়স, স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং রোগের তীব্রতার উপর। ব্লাড ক্যান্সারের কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি হলো:
কিমোথেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়। কিমোথেরাপি ট্যাবলেট, ইনজেকশন বা ক্যাথেটারের মাধ্যমে দেওয়া হতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপি: ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য উচ্চ-শক্তির রশ্মি ব্যবহার করা হয়। রেডিয়েশন থেরাপি বাহ্যিকভাবে (ত্বকের বাইরে থেকে) বা অভ্যন্তরীণভাবে (ব্র্যাকিথেরাপির মাধ্যমে) দেওয়া হতে পারে।
বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট: ক্ষতিগ্রস্ত অস্থিমজ্জার পরিবর্তে সুস্থ অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়।
ইমিউনোথেরাপি: রোগীর নিজস্ব ইমিউন সিস্টেমকে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করা হয়।
টার্গেটেড থেরাপি: ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি ও বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ জিন বা প্রোটিনকে লক্ষ্য করে ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
হরমোন থেরাপি: হরমোন-সংবেদনশীল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হরমোন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
সার্জারি: কিছু ক্ষেত্রে, টিউমার অপসারণ করার জন্য সার্জারি ব্যবহার করা হয়।
সহায়ক চিকিৎসা: রোগীর লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে বিভিন্ন সহায়ক চিকিৎসা ব্যবহার করা হয়।
চিকিৎসার পরবর্তী পর্যায়:
চিকিৎসা শেষ করার পরও রোগীকে নিয়মিত ডাক্তারের সাথে দেখা করতে হবে এবং পরীক্ষা করাতে হবে। এটি ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তি (relapse) শনাক্ত করতে এবং দ্রুত চিকিৎসা প্রদান করতে সাহায্য করে।
বাংলাদেশে ব্লাড ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে।
কিছু সরকারি হাসপাতাল হলো:
কিছু বেসরকারি হাসপাতাল হলো:
উল্লেখ্য:
6 months ago
6 months ago
7 months ago
7 months ago
8 months ago
9 months ago
9 months ago
9 months ago
10 months ago
11 months ago
11 months ago
11 months ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago