কেন ও কী কারণে মাথা ব্যথা হচ্ছে? তা মাথা ব্যথার ধরন বুঝে নির্ণয় করা সম্ভব, সমস্যা কেন হচ্ছে? মুল্যতো দুটি কারণ হলো মাইগ্রেন আর অতিরিক্ত চিন্তা। এর মধ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশই অতিরিক্ত চিন্তার জন্য। ১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন। তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন, মাদকাসক্তি, মদ্যপান। আপনার অনিয়মিত ও অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ। কাজেই এ মাথা ব্যথার থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে ,কিছু অবভাসে পরিবর্তন আনতে হবে।
মাইগ্রেন এর জন্য নারীদের বেশি হয়ে থাকে।। মাইগ্রেনের লক্ষণ সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স থেকে দেখা দেয়। মাইগ্রেনের ব্যথা ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাইগ্রেনে মাথা ব্যথার কিভহু লক্ষণগুলো হলো:
• মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার যেকোনো একপাশে হতে পারে। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরের বার অন্য পাশেও ব্যথা হতে পারে।
• ৪ ঘণ্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত মাথা ব্যথা স্থায়ী হতে পারে।
• মাথার দুই পাশের রক্তনালি বা রগ অস্বাভাবিক চাপ অনুভব করে।
• মাথা ব্যথার তীব্রতা অসহনশীল হয়, এর জন্য কোনো কাজই ঠিকভাবে করা যায় না।
• আলো বা শব্দে ব্যথার তীব্রতা অনেক গুন বেডে যায়।
• মাথা ব্যথার সঙ্গে বমিভাব বা বমি হতে পারে।
• মাথা ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলোর বিভিন্ন রকম অস্বাভাবিক আচরন করে।• অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথার তীব্রতা কমে।
মাথার মাংসপেশির সংকোচনের কারণে ও মাথাব্যথা হয়। এ ধরনের ব্যথার লক্ষন হলো:
• সম্পূর্ণ মাথাজুড়ে ব্যথা হয়।
• মাথায় ভারী কোনো বস্ত দিয়ে চাপ দুচ্ছে—এমন অনুভূতি হওয়া।
• মাইগ্রেনের ব্যথার মতো তীব্র ব্যথা হয় না। কিছুটা কম হয়।
• মাইগ্রেন ও দুশ্চিন্তার জন্য হওয়া ব্যথা কয়েক ঘণ্টা থেকে শুরু করে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
• পারিবারিক , বেক্তিগত, পেশাগত বা দুশ্চিন্তা,কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে এই ব্যথার সম্পর্ক আছে।
আমরা মাথাব্যথা থেকে তাৎক্ষণিক পরিত্রাণ পেতে বিভিন্ন কোম্পানির ব্যথানাশক ঔষধ, যেমন প্যারাসিটামল, নাপা, টামেন ইত্যাদি সেবন করা যেতে পারে। যে কোনো ব্যথানাশক ওষুধের সঙ্গে অবশ্যই পেপটিক আলসাররোধী ঔষধ খেতে হবে। মাত্রা অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ সেবনেও মাথাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ সমস্যাকে মেডিকেল এর ভাষায় বলে মেডিসিন ওভার ইউজ হেডেক। তাই খুব প্রয়োজন বা অতিরিক্ত ব্যথা না হলে ঘন ঘন ব্যথানাশক ঔষধ না খাওয়াই উত্তম। চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও ঔষধ সেবনে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago