উচ্চ রক্তচাপ/হাই (High pressure) প্রেসার একটি নীরব ঘাতক। এটি কোনো লক্ষণ ছাড়াই শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোকে ক্ষতি করতে পারে। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, কিডনি রোগ, হৃদরোগ ইত্যাদি হাই প্রেসারের কারণে হতে পারে। তাই হাই প্রেসার হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
অনেক ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপের কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে:
হাই প্রেসারের কারণ
হাই প্রেসারের সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে কিছু কারণ রয়েছে যা হাই প্রেসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে:
ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন বেশি থাকলে শরীরের ধমনীগুলোতে চাপ বেশি পড়ে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন কমাতে হলে খাবারের পরিমাণ কমাতে হবে এবং বেশি বেশি শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
লবণ কম খাওয়া
লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। তাই লবণ কম খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া উচিত নয়। বাজার থেকে কেনা খাবারগুলোতে লবণ বেশি থাকে। তাই এসব খাবার কম খাওয়া উচিত।
নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম করলে রক্তনালীগুলো শিথিল হয় এবং রক্তচাপ কমে।
ধূমপান ও মদ্যপান
ধূমপান ও মদ্যপান রক্তচাপ বাড়ায়। তাই ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকতে হবে।
মানসিক চাপ কমানো
মানসিক চাপ রক্তচাপ বাড়ায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করতে হবে। যোগব্যায়াম, ধ্যান, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা
হাই প্রেসারের কারণে নিম্নলিখিত জটিলতাগুলো হতে পারে:
উপসংহার
হাই প্রেসার একটি গুরুতর সমস্যা। তাই হাই প্রেসার হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনযাপনের ধরনে পরিবর্তন আনলে হাই প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago
1 year ago